স্বদেশ ডেস্ক:
শহরের তাপমাত্রা কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ কাজে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আটলান্টিক কাউন্সিল এর আদ্রানি আর্শাট রকফেলার ফাউন্ডেশন।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আটলান্টিক কাউন্সিল এর (Adrienne Arsht-Rockefeller foundation) আদ্রানি আর্শাট রকফেলার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এ নিয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করবে ডিএনসিসি। এই চুক্তির আওতায় আর্শাট রকফেলার ফাউন্ডেশন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় তাপমাত্র কমিয়ে আনার জন্য কাজ করবে। কারিগরি বিভিন্ন দিক থেকে ডিএনসিসিকে সহযোগিতা করবে তারা।
এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশে তারা যেভাবে তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেভাবেই উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।
আর্শাট রকফেলার ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্রের নিউয়র্ক শহর, ব্যাংকক, মিয়ামিসহ বিভিন্ন শহরে কাজ করেছে। সেখানে কারিগরি বিভিন্ন দিক থেকে সহযোগিতা করেছে। এসব শহরের ভবনে রং পরির্তন করা, শহরগুলোতে সবুজায়ন বৃদ্ধি করা, জ্বীবাশ্ম জ্বালানি কমিয়ে আনা এবং নীতিমালা প্রণয়নে নীতি নির্ধারকদের পরামর্শ প্রদান করে আসছে।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিটেন ভবনে ‘শহরের ভবনগুলোতে তাপমাত্রা কমিয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে থাকবেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
শহরের তাপমাত্রা কমানোর লক্ষে এই উদ্যোগ সম্পর্কে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘তাপ একটা নিরব ঘাতক। এটি উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের অনেক দেশে তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে ভূমিকা রেখেছে। তারা আমাদের কারিগরি সহায়তা দেবে। আমরা গাছ লাগানো এবং ছাঁদবাগান সম্পর্কে জানি। কিন্তু আরও কি কি করলে তাপমাত্রা কমানো যায় সেসব বিষয়ে তারা আমাদের সহায়তা দেবে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সাইয়েন্স এন্ড ক্লাইমেট বিভাগ। রকফেলার ফাউন্ডেশন দুই বছরের জন্য আমাদের সাপোর্ট দেবে।
রকফেলার ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন দেশের কাজের ধরণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তারা গাছ লাগানোর পাশাপাশি, ভবনে বিশেষ ধরণের রং করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া অত্যাধিক গরমের সময় অফিস সময় কমিয়ে আনার পরামর্শ দেন। তাছাড়া তীব্র দাবদাহের সময় অফিস সিডিউল পরিবর্তনের মতো পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে। এক্ষেত্রে যেসব দেশ উন্নতি ঘটিয়েছে তারা তাদের নীতিতেও কিছু পরিবর্তন এনেছে।